জলশূন‍্য দুর্গাপুর ব‍্যারেজ : তাপবিদ‍্যুৎ কেন্দ্রে বিদ‍্যুৎ উৎপাদন ঘিরে সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে

3rd November 2020 12:35 pm বাঁকুড়া
জলশূন‍্য দুর্গাপুর ব‍্যারেজ : তাপবিদ‍্যুৎ কেন্দ্রে বিদ‍্যুৎ উৎপাদন ঘিরে সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দুর্গাপুর ব্যারেজের লকগেট ভাঙার চারদিন পরও মেরামতের কাজ শুরু করতে পারেনি সেচ দফতর। ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর শিল্পশহর, আসানসোল-রানীগঞ্জ খনি এলাকার সাথে পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে বাঁকুড়া জেলার ১৪ টি ব্লকে। এতে কয়েক লাখ মানুষ আশঙ্কার প্রহর গুনতে শুরু করেছে। প্রভাব পড়েছে বড়জোড়া মেজিয়া শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন কল কারখানায়। ডিভিসির বৃহত্তম বিদ্যুৎ কারখানা মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প জল খরচ নিয়ন্ত্রণ এনেও আগামী কয়েক দিনের কথা চিন্তা করে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ তাদের ৫০০ মেগা ওয়াট  বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৮ নম্বর ইউনিটি বসিয়ে দিল সোমবার দুপুর থেকে। ফলে এদিন ডিভিসি র মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে যে বিদ্যুৎ ঘাটতি শুরু হয়েছে তা দেশের চাহিদা মেটাতে সংস্থার রঘুনাথপুর ও ঝাড়খণ্ডের কোডারমা, চন্দ্রপুরা ও বোকারো বিদ্যুৎ প্রকল্পে উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুত্রের খবর। শুধু মেজিয়া প্রকল্পেই ঘাটতি হচ্ছে না দামোদরে যাতে জল না আসে সেকারনে ডিভিসি তাদের মাইথন ও পাঞ্চেতের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প দুটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হওয়ায় সেখানেও ঘাটতি শুরু হয়েছে । তবে এই মুহূর্তে দেশের চাহিদা অনুযায়ী তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখলেও জলের অভাবে মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের আরও ইউনিট বসে গেলে দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় নেমে আসবে। ডিভিসির মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডিজিএম প্রবীর চাঁদ জানিয়েছেন, জলের খরচ তারা তাদের প্রকল্পের সব জায়গায় ৩০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেছে। এছাড়াও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রকল্প থেকে যে বর্জ্য জল বাইরে বেরিয়ে যায় তারও কিছুটা রিসাইক্লিং পদ্ধতিতে শোধন করে কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যারেজের যেখানে ইনটেক পাম্প হাউস রয়েছে সেখানে দামোদরের বালি সরিয়ে ঝরনার জল পাম্প হাউসে ঢোকানোর ব্যবস্থা করেছে ডিভিসি। এতে পাম্প চালিয়ে কিছুটা জল প্রকল্পের রিজার্ভারে আনা যাবে। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।